
আমতলীতে প্রকাশিত সংবাদের গুরুত্ব ধামাচাপা দিতে গিয়ে সুপারের সংবাদ সম্মেলন


আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালীতে অনিয়ম ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে একাধিক পত্রিকায় গুলিশাখালি ইউনিয়নের উত্তর কালামপুর নূরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমতলী উপজেলা ওলামালিগের সভাপতি মাওলানা মোঃ আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তা ধামাচাপা দিতে অনেক পত্রিকার সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেছেন আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা ঐ এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
সম্প্রতি বরগুনার আমতলীতে আলাউদ্দিন শিকদার নামের এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্যসহ একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কিছু সংখ্যক সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নানান বিষয় অভিযুক্তকারী আলাউদ্দিন সিকদার।
ভুক্তভোগীর দাবি, আওয়ামী সমর্থক হিসেবে পরিচিত এ সুপার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো ধরনের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
আলাউদ্দিন শিকদার আমতলীর উত্তর কালামপুর (কালিবাড়ি) নূরানি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি।
২০০৯ সালের একটি নিয়োগপত্র বাংলাদেশের খবরের হাতে আসে। ওই নিয়োগপত্রের সূত্র ধরে নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্য উঠে আসে। ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বরের সেই নিয়োগপত্রে মোহাম্মদ আবদুল হক নামের এক প্রার্থীকে ‘টেকনিক্যাল শপ অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও পরে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে কোনো কারিগরি শাখাই নেই।
চাকরিপ্রার্থী আবদুল হক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমি ৫ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগপত্র পাই এবং যোগদানও করি। কিন্তু পরে বুঝতে পারি নিয়োগপত্রটি ভুয়া। আজও আমি টাকা ফেরত পাইনি।
হাফিজুর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ২০১৯ সালে মাদ্রাসা সুপার আলাউদ্দিন আমার কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নিয়ে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে টালবাহানার মাধ্যমে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। সালিশ বৈঠকের পর আংশিক টাকা ফেরত দিলেও আড়াই লাখ টাকা এখনো ফেরত পাইনি।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন,আমতলীর গুলিশাখালীতে অপরাধ অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে একাধিক পত্রিকায় গুলিশাখালি ইউনিয়নের উত্তর কালামপুর নূরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমতলী উপজেলা ওলামালিগের সভাপতি মাওলানা মোঃ আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তা ধামাচাপা দিতে অনেক সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেছেন আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা ঐ এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে মাদ্রাসায় গেলে আলাউদ্দিন শিকদারকে পাওয়া যায়নি। শিক্ষক হাজিরা খাতায়ও তার উপস্থিতি নেই। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াদ হাসান মুঠোফোনে বাংলাদেশের খবর পত্রিকার সংবাদকর্মীকে বলেন, কারিগরি শাখায় যে নিয়োগের বিষয়টি সেটি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে না আসার যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে আমি তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করব। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ